শিরোনাম: জঙ্গলের রহস্য



(গভীর জঙ্গলের শব্দ, পাখির ডাক, পাতার মর্মর শব্দ)


বর্ণনাকারী:

একটা সময় ছিল যখন এই জঙ্গলে মানুষের পা পড়ত না। ঘন সবুজ গাছপালা, রাশি রাশি লতা-পাতা, আর হরিণের লাফালাফিতে মুখর ছিল পরিবেশ। কিন্তু একদিন, হঠাৎ করেই জঙ্গলের নীরবতা ভেঙে যায়।


(গর্জনের শব্দ, ড্রামের শব্দ)


বয়স্ক গ্রামবাসী:

(কাঁপা কণ্ঠে) শুনেছিস? কাল রাতে আবার সেই শব্দটা শুনেছি! যেন কেউ বা কিছু আমাদের গ্রামকে নজর রাখছে।


তরুণ যুবক:

(উৎসুক কণ্ঠে) দাদু, কেউ কি কখনও দেখেছে ওটা?


বয়স্ক গ্রামবাসী:

না রে বাপু, কেউ দেখতে পারেনি। কিন্তু যারা খুঁজতে গেছে, তারা আর ফিরে আসেনি।


(জঙ্গলের গভীরে ঢোকার শব্দ)


নায়ক (নির্ধারিত স্বরে):

আমি যাবো! এই রহস্যের শেষ দেখে তবেই ফিরবো।


(গভীর জঙ্গলের মধ্যে হাঁটার শব্দ, শুকনো পাতার মচমচ শব্দ)


হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে বিশাল ছায়া দেখা যায়। নায়ক থেমে যায়।

(শ্বাস বন্ধ হওয়ার শব্দ)


নায়ক:

(স্বগত) এ কী? এটা তো কোনো পশু নয়!


(আকস্মিক হুঙ্কার, নায়কের দৌড়)


বর্ণনাকারী:

নায়ক প্রাণপণে দৌড়ায়, পেছনে অদ্ভুত ছায়ামূর্তি তাড়া করে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নায়ক তাকিয়ে দেখে, রহস্যময় ছায়া কোথায় হারিয়ে গেছে।


(নীরবতা)


নায়ক (ক্লান্ত স্বরে):

জঙ্গলের এই রহস্য বোধহয় কোনোদিনও জানা যাবে না।


(পাখির ডাকে পরিবেশ আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়)

(পর্দা নামা)

Comments

Popular posts from this blog

একজন রহস্যময় শিক্ষক