Posts

শিরোনাম: জঙ্গলের রহস্য

(গভীর জঙ্গলের শব্দ, পাখির ডাক, পাতার মর্মর শব্দ) বর্ণনাকারী: একটা সময় ছিল যখন এই জঙ্গলে মানুষের পা পড়ত না। ঘন সবুজ গাছপালা, রাশি রাশি লতা-পাতা, আর হরিণের লাফালাফিতে মুখর ছিল পরিবেশ। কিন্তু একদিন, হঠাৎ করেই জঙ্গলের নীরবতা ভেঙে যায়। (গর্জনের শব্দ, ড্রামের শব্দ) বয়স্ক গ্রামবাসী: (কাঁপা কণ্ঠে) শুনেছিস? কাল রাতে আবার সেই শব্দটা শুনেছি! যেন কেউ বা কিছু আমাদের গ্রামকে নজর রাখছে। তরুণ যুবক: (উৎসুক কণ্ঠে) দাদু, কেউ কি কখনও দেখেছে ওটা? বয়স্ক গ্রামবাসী: না রে বাপু, কেউ দেখতে পারেনি। কিন্তু যারা খুঁজতে গেছে, তারা আর ফিরে আসেনি। (জঙ্গলের গভীরে ঢোকার শব্দ) নায়ক (নির্ধারিত স্বরে): আমি যাবো! এই রহস্যের শেষ দেখে তবেই ফিরবো। (গভীর জঙ্গলের মধ্যে হাঁটার শব্দ, শুকনো পাতার মচমচ শব্দ) হঠাৎ ঝোপের আড়াল থেকে বিশাল ছায়া দেখা যায়। নায়ক থেমে যায়। (শ্বাস বন্ধ হওয়ার শব্দ) নায়ক: (স্বগত) এ কী? এটা তো কোনো পশু নয়! (আকস্মিক হুঙ্কার, নায়কের দৌড়) বর্ণনাকারী: নায়ক প্রাণপণে দৌড়ায়, পেছনে অদ্ভুত ছায়ামূর্তি তাড়া করে। কিন্তু হঠাৎ করেই সব নিস্তব্ধ হয়ে যায়। নায়ক তাকিয়ে দেখে, রহস্যময় ছায়া কোথায় হারিয়ে ...

একজন রহস্যময় শিক্ষক

অজয় স্যার আমাদের স্কুলের নতুন ইংরেজি শিক্ষক। সুদর্শন, গম্ভীর ও রহস্যময়। তাঁর চোখে যেন অদ্ভুত এক জাদু ছিল, যা আমাদের মুগ্ধ করত। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার হলো, স্যারের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কেউ কিছু জানত না। একদিন স্কুল শেষে আমি এবং আমার বন্ধু রাকিব দেখলাম, স্যার পুরানো লাইব্রেরির তালা ভাঙছেন। কৌতূহলবশত আমরা আড়াল থেকে দেখছিলাম। হঠাৎ স্যার লাইব্রেরি ঘরে ঢুকে পড়লেন। কৌতূহল সামলাতে না পেরে আমরা জানালার ফাঁক দিয়ে তাকালাম। দেখি, স্যার একটা পুরোনো নথিপত্র ঘাঁটছেন। একটি হলুদ পাতায় ঢেকে রাখা ডায়েরি বের করে পড়তে লাগলেন। আমরা অবাক হয়ে দেখলাম, ডায়েরির প্রথম পাতায় লেখা ছিল, "অজয় বসু নিখোঁজ রহস্য"। বিস্ময়ে আমাদের মুখ শুকিয়ে গেল। অজয় বসু তো আমাদের স্যারের নাম! ডায়েরিতে লেখা ছিল, বিশ বছর আগে এক শিক্ষক হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর মরদেহ কখনো পাওয়া যায়নি। পরদিন সাহস করে স্যারের সামনে ডায়েরির কথা তুললাম। তিনি হঠাৎ থমকে গেলেন। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে বললেন, "কিছু সত্য লুকিয়ে থাকাই ভালো।" তাঁর চোখে অদ্ভুত শীতলতা দেখা গেল। এরপর থেকে স্যার আরও গম্ভীর হয়ে গেলেন। কেউ আর কখনো জান...